অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষায় সংস্কার
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষায় সংস্কার

তারিখ: আগস্ট 2025

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক নিয়োগ, ডিজিটালাইজেশন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

সারা দেশে ১৬ হাজারেরও বেশি শ্রেণিকক্ষ, ১৫ হাজার ওয়াশ ব্লক এবং ৬ হাজার টিউবওয়েল নির্মাণাধীন রয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকা শহর ও কক্সবাজারে নতুন স্কুল ভবন এবং একটি লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। ২০২৫ সালের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ হাজার সহকারী শিক্ষক ও ২,৩৮২ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে, যা একটি নতুন ডিজিটাল পদোন্নতি ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

শিক্ষার মানোন্নয়নে ৭ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৮২,৫০০ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। প্রায় ১.১৪ কোটি শিক্ষার্থী ইএফটি (EFT) এর মাধ্যমে উপবৃত্তি পাবে এবং স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম ১৫০টি উপজেলায় সম্প্রসারিত হচ্ছে।

আসন্ন পিইডিপি-৫ (PEDP-5) পরিকল্পনায় মডেল স্কুল, আইসিটি অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং শিশু-বান্ধব শ্রেণিকক্ষের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে চা-বাগান এলাকার জন্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার অংশ হিসেবে ২৭ হাজার শিক্ষককে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং পাঁচটি স্থানীয় ভাষায় ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হবে।

শিক্ষাকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ৩,০০০ ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইটবোর্ড, উন্নত ডিজিটাল স্টুডিও এবং নবায়িত ই-মনিটরিং অ্যাপ চালু করা হচ্ছে।

২০২৫–২৬ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে ৩৫,৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জনগণের মতামত